১২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)-কে অপসারণের দাবি জানিয়েছে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ায় বিক্ষোভ চলাকালে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা। তবে, এর কিছুক্ষণ পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
এ সময় খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার আমাদের কাছ থেকে তিন–চার দিনের সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁকে জানিয়েছি যা করার আজকের মধ্যেই করতে হবে। অন্যথায় এ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলবে।’
এর আগে সকাল ১০টা থেকে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পটিয়া বাইপাস এলাকায় গিয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, মঙ্গলবারের পুলিশি লাঠিচার্জে তারা ক্ষুব্ধ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের গড়িমসি কাম্য নয়। তাই পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ ছয় উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, সড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়, সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে জুলাই দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলনের কর্মসূচি শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতা দীপংকর দে-কে দেখতে পেয়ে তাঁকে আটক করে পটিয়া থানায় সোপর্দ করে। তবে, ওই নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় তাঁকে আটক করতে চায়নি পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী ও এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমানসহ ১৫ জন আহত হন। পরে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এর প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল থেকে পটিয়া থানা ঘেরাও, পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা। এসময় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। পরে বিক্ষোভ পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
