কর্তৃত্ববাদী সরকারপতনের পর এক বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (৪ আগস্ট) ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রশাসন চালাতে গিয়ে সরকারের সমন্বয়ের ঘাটতি ও সিদ্ধান্তহীনতার কথা বলা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। একইসাথে জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয় গবেষণায়।
গবেষণা প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল বা কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছে। এই কিংস পার্টি কারা—এ প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা গোপন করার কিছুই নেই। এটি জাতীয় নাগরিক পার্টি, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিংস পার্টি। কারণ, এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যারা আছেন, তাদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হিসেবে কিংস পার্টি।’
অনুষ্ঠানে এক বছরের মূল্যায়ন। গুণগত গবেষণাপদ্ধতিতে করা টিআইবির প্রতিবেদনে অন্তবর্তী সরকারের নানা কার্যক্রমের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন অংশীজনের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়।
বিভিন্ন পরিপত্র, অধ্যাদেশ, সংবাদপত্র, প্রবন্ধ ও রাজনৈতিক দলসহ নানা অরাজনৈতিক গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের প্রবন্ধের আলোকে তৈরি গবেষণায় সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা, প্রশাসন পরিচালনায় দুর্বলতা ও কর্মপরিকল্পনায় ঘাটতি পেয়েছে টিআইবি। বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলেও- উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়। পরিবর্তন হয়নি দেশের মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিভিন্ন বড় দল ও সহযোগীদের কর্মকাণ্ড নিয়েও। জোর দেন, ঐকমত্য হওয়া সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর। না হলে ঘনীভূত হতে পারে রাজনৈতিক সংকট। টিআইবির আশা এই গবেষণা এক বছরে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা দেবে অংশীজনদের।
