পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমাল এবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ অষ্টম পর্বত ‘মানাসলু’ (৮,১৬৩ মিটার) অভিযানে যাচ্ছেন। এ উপলক্ষ্যে পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অল্টিটিউড হান্টার বিডি মাউন্টেইনিয়ারিং ক্লাব। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার।
পর্বতারোহণ প্রশিক্ষক ও চলচিত্র গবেষক মীর শামছুল আলম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলার ট্রেকার এক্সপ্লোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও অভিযাত্রী নিজাম উদ্দিন এবং রোপ৪ আউটডোর এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন মাহি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অল্টিটিউড হান্টার বিডি ক্লাবের সভাপতি ফজলুর রহমান শামিম। সঞ্চালনা করেন আঞ্জুমান লায়লা নওশিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের অনেক পর্বতারোহী, ট্রেকার, ট্রাভেলার এবং বিভিন্ন মাউন্টেইনিয়ারিং ক্লাবের সদস্য।
তৌফিক আহমেদ তমাল আগামী ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করবেন। এরপর আগামী ৪০ দিনের মধ্যে নেপালের পশ্চিম-মধ্য হিমালয়ের মানসিরি হিমাল রেঞ্জের মানাসলু পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা করেন।
তমাল এরইমধ্যে দেশের পাহাড়গুলোতে ১৪ বছরের বেশি সময় নিয়মিত ট্রেকিং এবং গত কয়েক বছরে নিয়মিত হিমালয়ের অতি উচ্চতার ট্রেক আয়োজন ও পরিচালনা করেন। তিনি ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ ও রক ক্লাইম্বিংয়ের মৌলিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ ছাড়াও ৫০০০ থেকে ৬০০০ মিটারের ৭টি পর্বত এবং ৬৫০০+ ২টি পর্বতে সফলভাবে অভিযান করেছেন। বিশেষভাবে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শীতকালীন অভিযানে আরোহণ করেছেন ‘থার্পু চুল্লি’ পর্বত। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পদ্মা নদীর উৎস পর্বত ‘ভাগীরথী-২’ (৬৫১২) আরোহণ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় হিমালয়ে ইন্দো-বাংলা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ২০২৪ সালে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন ও কৌশলগত শৃঙ্গ ‘মাউন্ট আমা দাবলাম’ (৬৮১৪ মিটার) আরোহণ করেছেন।
এ অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে ট্রেকিং এবং ক্লাইম্বিং এজেন্সি ও ক্লাব অল্টিটিউড হান্টার এবং তমালের নিজস্ব অর্থায়ন। এ অভিযান দিয়েই গোড়াপত্তন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নতুন পর্বতারোহণ ক্লাব অল্টিটিউড হান্টার বিডি।
