দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গৃহীত আমরণ অনশন কর্মসূচির ১৭তম বর্ষপূর্তি আজ।
২০০৮ সালের ২১ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে এ অনশন শুরু হয়। বর্তমান মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মোট ১০ জন নেতাকর্মী টানা ১২ দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
দলীয় সূত্র জানায়, এ কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার পরিবার ও দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন নেতাকর্মীরা। প্রতিবছর ২১ আগস্ট (অনশন শুরুর দিন) এবং ১ সেপ্টেম্বর (অনশন ভাঙার দিন) এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
অনশন কর্মসূচিতে এটিএম কামালের পাশাপাশি অংশ নেন জাসাসের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ স্বপন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সদস্য ও জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দীপু, ছাত্রদল নেতা দিদার খন্দকার, আমির হোসেন কামাল, কামরুজ্জামান, হাফেজ মামুন, হাফেজ শিবলী এবং মহিলা দলের নেত্রী ডলি আহমেদ।
টানা অনশনের কারণে এটিএম কামালের শারীরিক অবস্থার একাধিকবার অবনতি ঘটে। অবশেষে রমজান মাস শুরু হওয়ার একদিন আগে ১ সেপ্টেম্বর দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুরোধে তিনি তাঁর মা, প্রবীণ মহিলা দল নেত্রী শাহানা খানম চৌধুরীর হাতে ফলের রস পান করে অনশন ভাঙেন।
অনশন স্থগিতের পরপরই ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দেশনায়ক তারেক রহমান এবং ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান। জেলা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস এবং মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ কর্মসূচি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
